মৃদুলা দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। তার বিয়ে হয় একজন চাষীর সাথে। তার একটি করে ছেলে ও মেয়ে আছে। তার বিশ্বাস তার পরিবারের সদস্যদের বিরাট সমর্থন পাবার জন্যেই সে ইন্টারনেট শিখতে পেরেছে এবং তা কার্যকরীভাবে গ্রামের অন্যদের কাছে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে। এখন সে গ্রামের মহিলা ও শিশুদের কাছে অত্যন্ত সুপরিচিত যারা ওকে সাথী আক্কা (সাথী বোন) বলে ডাকে। সে ছাত্রছাত্রীদের ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোচিং ক্লাস পেতে এবং পরীক্ষার ফল জানতে সহায়তা করে। তার গ্রামের অনেক মহিলারা এখন চিকেন পিকল (আচার) আর মাই্সোরপেক (এক বিশেষ ধরনের মিষ্টি) বানাতে শিখে গেছে।

৩০ বছর ধরে শিক্ষকতা করা কোন একজন স্কুলের প্রধানশিক্ষিকা এখন মৃদুলার ছাত্রী যিনি ইন্টারনেট ব্যবহার করতে শুরু করেছেন যাতে আগ্রহী ছাত্র-ছাত্রীদের শেখার আগ্রহ বাড়ে কারন ইন্টারনেট থেকে পাঠ্যাভ্যাস হলো আরো বেশি মজাদার।